ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ১৩নং ভবানীপুর ইউনিয়ন মানুষ বিএনপির অপরাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে-আফজালুর রহমান বাবু মানুষ বিএনপির অপরাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে-আফজালুর রহমান বাবু শান্তি ও উন্নয়ন শুভা যাত্রা সফল করার লক্ষ্যে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর অংশগ্রহণ দেশব্যাপী বিএনপি, জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ১৩নং ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে মিছিল অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রতি গ্রামে পাঠাগার স্থাপনের প্রস্তাবনা ময়মনসিংহ জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন উত্তম চক্রবর্তী রকেট ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় ডিগ্রী কলেজে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত নিজের টাকায় রাস্তা মেরামত করলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪, নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর “বিশেষ বর্ধিত সভা” অনুষ্ঠিত

প্রতিপক্ষের কুটকৌশলের কবলে ময়মনসিংহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি

িিি
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 89

দৈনিক ফুলবাড়ীয়া সংবাদ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ধোবাউড়া আসনের নেতা- কর্মী ও সাধারণ মানুষের অনুরোধে এমপি প্রার্থী হওয়া ও ময়মনসিংহের এক প্রভাবশালী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক কূটকৌশলে বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি নাজমুল হক মন্ডল। ময়মনসিংহের এক প্রভাবশালী নেতা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার কর্মীদের দিয়ে ভুয়া ফেইজবুক আইডি খুলে নাজমুল হক মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

নাজমুল হক মন্ডল আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ও প্রথিতযশা একজন ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি নিবেদিত প্রাণ। প্রতিপক্ষরা তার স্ত্রী বিয়োগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের যোগসাজশে তার বিরুদ্ধে একটি সাজানো ঘটনা দেখিয়ে মামলা করেন।

ঐ মামলায় তাকে এক বছরের সাজা দেয়ায় পর আদালতের বিচারক বিবেচনা করে সন্তুষ্টির প্রেক্ষিতে এক মাসের অগ্রিম জামিন দেন।
১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ময়মনসিংহ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা দায়রা জজ ও অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক জামিন মঞ্জুর ও রায় ঘোষনা করেন।

জানা যায়, মামলার বাদী জামাল উদ্দিন ফ্ল্যাট কেনার বাবত ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩শ’ ৭৪ টাকা চেকের বিপরীতে নেন। পরবর্তীতে নাজমুল হক মন্ডল লাভসহ বাদীকে ১৩/৭/২০১৬ সালে ময়মনসিংহ অগ্রণী ব্যাংকের একটি চেক মূলে তাকে ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। যাহা বাদী নিজ হাতে চেক লিখে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলনের বিষয়টি বাদী জামাল উদ্দিন নিজেই স্বীকার করেছেন বলে জানাগেছে। নাজমুল হক মন্ডল বাদীর নিকট থেকে ফ্ল্যাট কেনার প্রেক্ষিতে লাভসহ ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। টাকা পাওয়ার পরও কেন এই মামলা?

সূত্রে জানা যায়, ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধের পরপরই নাজমুল হক মন্ডলের স্ত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যান সেখানে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেন। সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় ব্যবসার প্রয়োজনে ১০টি ব্লাইন্ড চেক রেখে যান শুশুর বাড়ির লোকদের। এই রেখে যাওয়া চেকই তার কাল হয়ে দাঁড়ায়। গিন্নির ভাই ও প্রতিপক্ষের যোগসাজশে ঐ চেকের একটি মামলা কাজে লাগান। বাকী চেকগুলোও তারা কৌশলে নিজেদের কব্জায় রেখে একপর্যায়ে মানুষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নাজমুল হক মন্ডল জানান, স্ত্রীকে চিকিৎসা শেষে দেশের আনার পর তিনি মারা যান। আর এই আমার ভেঙে পড়ার সময়টাকে কাজে লাগায় প্রতিপক্ষ ও এক প্রভাবশালী সেচ্ছাসেবক লীগ প্রভাবশালী নেতা।

টাকা পরিশোধের পরও সাজানো অভিযোগে মামলা দেয়া হয় আমার নামে উদ্দেশ্য হয়রানি , সন্মান হানি তারচেয়েও বড় বিষয় আমি এমপি প্রার্থী হিসাবে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দেই। ওরা যা ভাবছে তা কখনোই হবে না। এলাকাবাসী আমাকে ভালোবাসেন আমিও তাদের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেই। এতে প্রশান্তি পাই।

এদিকে হালুয়াঘাট – ধোবাউড়ায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নাজমুল হক মন্ডল এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ তথা আওয়ামালীগে পরিবারে খুবই জনপ্রিয়। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব জনবান্ধব। তার রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা দলীয় নেতা- কর্মী সমর্থক ছাড়াও মানুষের মুখে শোনা যায় সমাজসেবার প্রশংসা। এতেই কাল প্রতিপক্ষের ।

নাজমুল হক মন্ডল বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া জননেত্রী মাননীয় প্রশানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রতি আস্থাশীল । আমরা উন্নয়নে বিশ্বাসী পক্ষান্তরে প্রতিপক্ষরা অগণতান্ত্রিক তাদের কাজই মানুষকে ব্ল্যাকমেইক করে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি মান সন্মান বিনষ্ট করা। তিনি এদের কবল থেকে সুরক্ষায় সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দলীয় ভাবে আমাকে অথবা দলের যেকোন ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হয়ে সর্বোচ্চ আত্বত্যাগে বিজয় ছিনিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রতিপক্ষের কুটকৌশলের কবলে ময়মনসিংহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি

আপডেট সময় : ১০:২৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দৈনিক ফুলবাড়ীয়া সংবাদ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ধোবাউড়া আসনের নেতা- কর্মী ও সাধারণ মানুষের অনুরোধে এমপি প্রার্থী হওয়া ও ময়মনসিংহের এক প্রভাবশালী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক কূটকৌশলে বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি নাজমুল হক মন্ডল। ময়মনসিংহের এক প্রভাবশালী নেতা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার কর্মীদের দিয়ে ভুয়া ফেইজবুক আইডি খুলে নাজমুল হক মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

নাজমুল হক মন্ডল আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ও প্রথিতযশা একজন ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি নিবেদিত প্রাণ। প্রতিপক্ষরা তার স্ত্রী বিয়োগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের যোগসাজশে তার বিরুদ্ধে একটি সাজানো ঘটনা দেখিয়ে মামলা করেন।

ঐ মামলায় তাকে এক বছরের সাজা দেয়ায় পর আদালতের বিচারক বিবেচনা করে সন্তুষ্টির প্রেক্ষিতে এক মাসের অগ্রিম জামিন দেন।
১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ময়মনসিংহ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা দায়রা জজ ও অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক জামিন মঞ্জুর ও রায় ঘোষনা করেন।

জানা যায়, মামলার বাদী জামাল উদ্দিন ফ্ল্যাট কেনার বাবত ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩শ’ ৭৪ টাকা চেকের বিপরীতে নেন। পরবর্তীতে নাজমুল হক মন্ডল লাভসহ বাদীকে ১৩/৭/২০১৬ সালে ময়মনসিংহ অগ্রণী ব্যাংকের একটি চেক মূলে তাকে ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। যাহা বাদী নিজ হাতে চেক লিখে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলনের বিষয়টি বাদী জামাল উদ্দিন নিজেই স্বীকার করেছেন বলে জানাগেছে। নাজমুল হক মন্ডল বাদীর নিকট থেকে ফ্ল্যাট কেনার প্রেক্ষিতে লাভসহ ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। টাকা পাওয়ার পরও কেন এই মামলা?

সূত্রে জানা যায়, ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধের পরপরই নাজমুল হক মন্ডলের স্ত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যান সেখানে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেন। সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় ব্যবসার প্রয়োজনে ১০টি ব্লাইন্ড চেক রেখে যান শুশুর বাড়ির লোকদের। এই রেখে যাওয়া চেকই তার কাল হয়ে দাঁড়ায়। গিন্নির ভাই ও প্রতিপক্ষের যোগসাজশে ঐ চেকের একটি মামলা কাজে লাগান। বাকী চেকগুলোও তারা কৌশলে নিজেদের কব্জায় রেখে একপর্যায়ে মানুষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নাজমুল হক মন্ডল জানান, স্ত্রীকে চিকিৎসা শেষে দেশের আনার পর তিনি মারা যান। আর এই আমার ভেঙে পড়ার সময়টাকে কাজে লাগায় প্রতিপক্ষ ও এক প্রভাবশালী সেচ্ছাসেবক লীগ প্রভাবশালী নেতা।

টাকা পরিশোধের পরও সাজানো অভিযোগে মামলা দেয়া হয় আমার নামে উদ্দেশ্য হয়রানি , সন্মান হানি তারচেয়েও বড় বিষয় আমি এমপি প্রার্থী হিসাবে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দেই। ওরা যা ভাবছে তা কখনোই হবে না। এলাকাবাসী আমাকে ভালোবাসেন আমিও তাদের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেই। এতে প্রশান্তি পাই।

এদিকে হালুয়াঘাট – ধোবাউড়ায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নাজমুল হক মন্ডল এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ তথা আওয়ামালীগে পরিবারে খুবই জনপ্রিয়। তার সুযোগ্য নেতৃত্ব জনবান্ধব। তার রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা দলীয় নেতা- কর্মী সমর্থক ছাড়াও মানুষের মুখে শোনা যায় সমাজসেবার প্রশংসা। এতেই কাল প্রতিপক্ষের ।

নাজমুল হক মন্ডল বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া জননেত্রী মাননীয় প্রশানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রতি আস্থাশীল । আমরা উন্নয়নে বিশ্বাসী পক্ষান্তরে প্রতিপক্ষরা অগণতান্ত্রিক তাদের কাজই মানুষকে ব্ল্যাকমেইক করে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি মান সন্মান বিনষ্ট করা। তিনি এদের কবল থেকে সুরক্ষায় সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দলীয় ভাবে আমাকে অথবা দলের যেকোন ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হয়ে সর্বোচ্চ আত্বত্যাগে বিজয় ছিনিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।