ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ১৩নং ভবানীপুর ইউনিয়ন মানুষ বিএনপির অপরাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে-আফজালুর রহমান বাবু মানুষ বিএনপির অপরাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে-আফজালুর রহমান বাবু শান্তি ও উন্নয়ন শুভা যাত্রা সফল করার লক্ষ্যে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর অংশগ্রহণ দেশব্যাপী বিএনপি, জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ১৩নং ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে মিছিল অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রতি গ্রামে পাঠাগার স্থাপনের প্রস্তাবনা ময়মনসিংহ জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন উত্তম চক্রবর্তী রকেট ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় ডিগ্রী কলেজে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত নিজের টাকায় রাস্তা মেরামত করলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪, নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর “বিশেষ বর্ধিত সভা” অনুষ্ঠিত

সর্বদা হাস্যোজ্বল ও গরিবের ডাক্তার মাসুদ পারভেজ

অনলাইন রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 320

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কান্দানিয়া গ্রামে মাসু পারভে এর বাড়ি। গরিব মানুষকে নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা দিয়ে এলাকায় তিনি পরিচিতি পেয়েছেন গরিবের ডাক্তার হিসেবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এই চিকিৎসক। পরবর্তীতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনে চলে আসেন নিজ গ্রামের মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে।

করোনা মহামারির সময় চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় করোনা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেছেন সম্মুখযোদ্ধা হয়ে। জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে প্রায় ৭,৫০০ জনের ফোন কল রিসিভ করে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করেন মাসুদ পারভেজ।

মাসুদ পারভেজের জন্ম ও বেড়ে উঠা গ্রামে। কান্দানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে মাধ্যমিক ও আছিমের শাহাবুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ডাক্তার হওয়ার পেছনের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটিতে যখন শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক পরিচালক মৃত ডা. ইউসুফ আলী মামা গ্রামে আসতেন তখন দূরদূরান্ত থেকে অনেক গরিব মানুষ এসে পরামর্শ নিত। তখন থেকেই ডাক্তার হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছে আমার মাঝে আসে।

ভর্তি পরীক্ষার সময়ের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, প্রথম বছর আমি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাইনি। ওই বছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিকালচার বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাই। তখনও ডাক্তার হওয়ার সুপ্ত বাসনা থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করি দ্বিতীয়বারের জন্য। তিনি আরও বলেন, ওই সময় প্রস্তুতির ব্যাপারে পরিবারের কাউকে জানাইনি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পাই।

ডাক্তার মাসুদ পারভেজ তার মানবিক কাজের মধ্য দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষের মনের মনিকোঠায়। সময় নিয়ে রোগী দেখা, রোগীদের সঙ্গে সদাচরণ, গরীব রোগীদের নামমাত্রমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ নানা কারণেই প্রশংসিত তিনি। শুধু চিকিৎসা সেবা নয়, নানা ধরণের সামাজিক কর্মকান্ডেও সরব অংশগ্রহণ রয়েছে তার। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উৎসর্গ ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টাও তিনি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সর্বদা হাস্যোজ্বল ও গরিবের ডাক্তার মাসুদ পারভেজ

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কান্দানিয়া গ্রামে মাসু পারভে এর বাড়ি। গরিব মানুষকে নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা দিয়ে এলাকায় তিনি পরিচিতি পেয়েছেন গরিবের ডাক্তার হিসেবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এই চিকিৎসক। পরবর্তীতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনে চলে আসেন নিজ গ্রামের মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে।

করোনা মহামারির সময় চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় করোনা ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেছেন সম্মুখযোদ্ধা হয়ে। জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে প্রায় ৭,৫০০ জনের ফোন কল রিসিভ করে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করেন মাসুদ পারভেজ।

মাসুদ পারভেজের জন্ম ও বেড়ে উঠা গ্রামে। কান্দানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে মাধ্যমিক ও আছিমের শাহাবুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ডাক্তার হওয়ার পেছনের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটিতে যখন শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক পরিচালক মৃত ডা. ইউসুফ আলী মামা গ্রামে আসতেন তখন দূরদূরান্ত থেকে অনেক গরিব মানুষ এসে পরামর্শ নিত। তখন থেকেই ডাক্তার হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছে আমার মাঝে আসে।

ভর্তি পরীক্ষার সময়ের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, প্রথম বছর আমি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাইনি। ওই বছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিকালচার বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাই। তখনও ডাক্তার হওয়ার সুপ্ত বাসনা থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করি দ্বিতীয়বারের জন্য। তিনি আরও বলেন, ওই সময় প্রস্তুতির ব্যাপারে পরিবারের কাউকে জানাইনি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পাই।

ডাক্তার মাসুদ পারভেজ তার মানবিক কাজের মধ্য দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষের মনের মনিকোঠায়। সময় নিয়ে রোগী দেখা, রোগীদের সঙ্গে সদাচরণ, গরীব রোগীদের নামমাত্রমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ নানা কারণেই প্রশংসিত তিনি। শুধু চিকিৎসা সেবা নয়, নানা ধরণের সামাজিক কর্মকান্ডেও সরব অংশগ্রহণ রয়েছে তার। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উৎসর্গ ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টাও তিনি